আরিফুজ্জামান চাকলাদার,আলফাডাঙ্গা : ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলায় ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অর্থ অনিয়ম ও আত্মসাৎ এর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
উপজেলা টগরবন্দ ইউনিয়নে ইউনাইটেড একাডেমি পানাইলের ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি ও ৪নং টগরবন্দ ইউনিয়ন আওয়ামিলীগ সাবেক সভাপতি শেখ ফারুক আহমেদ উপজেলা পিআইও অফিসের বরাদ্দ এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা ও একই বিদ্যালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রহিমা খাতুন স্কুলের এক লক্ষ নয় হাজার তিনশত টাকা ও এইচ পি ল্যাপ্টপ আত্মসাৎ করেছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ৭-১২- ২০২১ সালে করোনা মহামারী এসএসসি ফরম পুরনের ২৬৭৬৫ টাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বোর্ড সোনালী ব্যাংক আলফাডাঙ্গা শাখায় ফেরৎ দেন।উক্ত টাকা ৩০-১-২২ উত্তোলন করে শিক্ষার্থীদের ফেরত দেন নাই।চাকুরির শর্ত বিধিমালা ১৯৭৯ এবং ১১ নং ধারায় বরখাস্ত ও অপসারণের যোগ্য।
২১-৩-২২ টিউশনি ফি সোনালী ব্যাংকে হিসাব নাম্বারে ৩২১৬০ টাকা জমা করা হয়েছে।প্রতিষ্ঠানে ক্যাশ বহিতে জমা নাই।এরুপ হলে ৩৭,৪৮ এস আর ৭(১) ট্রেজারী রুল ১ ম খন্ড ১৯৭৭ অনুযায়ী আয় ব্যয় অফিসারের মাধ্যম ব্যয় ও বন্টন টাকা ব্যক্তিগত ভাবে দায়ী।
ভিত্তিহীন ভাবে ৩১-১-২২ ও ২৭-২-২২ তাং সম্ভব্য ব্যয় ৫০০০ ও ১০০০০ টাকা লেখা হয়েছে।যা ৬,৭,৯ ধারায় আর্থিক অনিয়ম, অদক্ষতা ও দূর্নীতি জন্য প্রতিষ্ঠানে প্রধান দায়ী থাকবে।
২২-২-২২ তাং জানালা মেরামত ১৫০০ হাজার ও মালামাল ক্রয় ৩০৫০ টাকা ব্যয় দেখানো হয়েছে। যেখানে নিয়ম আছে একক খরচ ৫০০ টাকা বেশি হলে টেন্ডার কমিটি মাধ্যমে ব্যয় ভাউচার,তাং সহ স্বাক্ষর উল্লেখ করতে হবে।প্রধান শিক্ষক( ভা.) স্বাক্ষর ছাড়া অন্য কারো স্বাক্ষর নেই।বিধি ফাইন্যান্সসিয়াল রুলস ১৮,১৯,২১,৩৩,৩৬,৩৭ ধারায় সম্পূর্ণ লঙ্ঘিত।
প্রধান শিক্ষকে বেতন স্কুল অংশের ৩৩০০ টাকার সমপরিমাণ বোনাস পাবে রেজুলেশন উল্লেখ আছে।অথচ ৩১-৩-২২ তাং বেতন ৪৫০০ টাকা,১৩-৪-২২ বৈশাখি ভাতা ৪২০০ টাকা,২০-৪-২২ ইদুল ফিতর বোনাস ৪২০০ টাকা গ্রহন করেছে।১৯৭৯ এর ১১ ধারা কোন শিক্ষক দূর্নীতিতে দোষী স্বাব্যস্ত হয়,পরিচালনা কমিটি তাদের বরখাস্ত ও অপসারণ করতে পারে।
প্রধান শিক্ষক সম্মানি ৯০০ টাকা অথচ ৩১-২-২২ গ্রহন করেছে ১০০০ টাকা।৩০-১-২২ প্রজেক্টার মেরামত ৯০০০ টাকা হাতে নগদ আছে।
৩০-৪-২৩ জেএসসি ইএসআইএফ ফরম পুরন বাবদ ক্যাশিয়ার ২৯৪০ টাকা গ্রহন করছে।উক্ত ভাউচার প্রধান শিক্ষক ও অনুমোদন কমিটির স্বাক্ষর নেই।
সরকারের বরাদ্দ ২টি ল্যাপ্টপ এইচ পি ও দোয়েল কোম্পানি।এইচ পি পরিবর্তে অকার্যকর ও বাতিলকৃত অন্য কোম্পানি আছে।অথচ ট্রান্সফার অব চার্জ ৭৩,৬৩ ধারা দায়িত্ব হস্তান্তরের পর দায়িত্ব গ্রহন কর্মকর্তার উপর ন্যাস্ত হয়।বর্তমান প্রধান শিক্ষক (ভা.) ল্যাপ্টপ দিতে বাধ্য থাকিবে।
সাবেক প্রধান শিক্ষক (ভা.) বাবু বিকাশ চন্দ্র বিশ্বাস এর আমলে উপজেলা বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্রণব পান্ডে ২১-২২ অর্থ বছরে দেড় লক্ষ টাকা টিনের ঘর মেরামতের জন্য শেখ ফারুক আহমেদকে পিআইসি’র সভাপতি করে বরাদ্দ দেওয়ার পরে উত্তোলন করে।অথচ ঐ প্রতিষ্ঠানের টিনের ঘরের মেরামতের কোন কাজ করে নাই।
শেখ ফারুক আহমেদ বলেন,আমি প্রথম কিস্তিতে ৭৫০০০ টাকা উঠায় নিমাই মাস্টারের হাতে দেই।দ্বিতীয় কিস্তি ৭৫০০০ টাকার মধ্যে ১০০০০ টাকা প্রকল্প কর্মকর্তা প্রণব পান্ডে বাকী ৬৫০০০ টাকা প্রধান শিক্ষক মেহেদী হাসান এর নিকট জমা দেই।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রহিমা খাতুন বলেন,আমাকে নিমাই স্যার ঐ ল্যাপ্টপ দিয়েছে আমি যাওয়ার সময় মেহেদী স্যারকে বুঝিয়ে দেই।ফরম ফিলাপের টাকা উত্তোলন করে পরে আবার ব্যাংকে জমা দেওয়া হয়।কমিটি সভাপতি আসাদুজ্জামান ৯০০+৯০০+১০০ টাকা ভীলে বেশি দিয়েছিল তা পরে ফেরত দেওয়া হয়েছে।সব কিছু আয় ব্যয় খরচ আছে। আমি একটি টাকাও অনিয়ম করি নাই। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।
প্রধান শিক্ষক মেহেদী হাসান বলেন,আমি ২৩ সালে জানুয়ারিতে যোগদান করি।বছরের শেষের দিকে আমর হাতে টাকা দেয়, তা উন্নয়ন খাতে ব্যয় করা হয়।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোজাম্মেল হক বলেন,একটি অভিযোগ পেয়েছি। একাডেমি সুপার ভাইজার এর উপর তদন্ত দেওয়া হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।