নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ফরিদপুরে কোতোয়ালি থানার ধ্বংসাবশেষ পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করে এক দিন পর থেকে কোতয়ালী থানা পুলিশের কার্যত্রম শুরু করার ঘোষনা দেন পুলিশ সুপার মোহম্মদ মোরশেদ আলম।
শনিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে জেলায় দায়িত্ব থাকা সেনা বাহীনির অফিসার লেফটেনেন্ট কর্ণেল নাহিদ ও পুলিশ সুপার মোহম্মদ মোর্শেদ আলম থানা পরিদর্শন করে ও পুলিশ সদস্যগণকে সহযোগীতার আশ্বাস দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফরিদপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি কবিরুল ইসলাম সিদ্দিকী কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ হাসানুজ্জামান। এ সময় জেলা পুলিশের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও সরকার পতন ঘিরে চলমান পরিস্থিতিতে জেলার সদরপুর, মধুখালী ও কোতয়ালী থানায় বিক্ষোভকারীরা ব্যাপক ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ করে। এতে অস্ত্র লুটসহ থানার প্রতিটি কক্ষ, পুলিশের গাড়ি, মামলার নথিপত্র আগুনে পুড়ে ভষ্মীভুত হয়।
জেলায় সেনাবাহীনির দায়িত্বে থাকা লেফটেনেন্ট কর্ণেল নাহিদ সরোয়ার জানান, পুলিশের স্বাভাবিক কার্যক্রম নিশ্চিত করতে সকল থানায় পুলিশ যোগ দিয়েছে। দেশের শান্তি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে এখন থেকে তারা পুলিশ সদস্যদের পাশে থাকবেন ও সহযোগীতা করবেন।
পুলিশ সুপার মোহম্মদ মোর্শেদ আলম বলেন, জেলার মোট ৯টি থানার মধ্যে সবগুলো থানায় গতকাল থেকেই পুলিশ সদস্যরা যোগদান করে স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু করেছে। শুধু কোতয়ালী থানায় বেশি ক্ষতি হওয়ায় সেগুলো গুছিয়ে উঠিয়ে আজ থেকে এই থানার কার্র্যক্রমও শুরু করা হলো। দ্রুত সময়ে পূর্ণ মনোবল নিয়ে পুলিশী পোশাকে আইনগত সকল কাজ শুরু করে মানুষের সেবা দিবে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পুলিশের লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধারে মাইকিং করে জমা দেওয়ার জন্য ঘোষনা করা হবে। তার পর থেকে অভিযান পরিচলনা করে উদ্ধার অভিযানসহ সকল ধরণের আইনগত কাজ শুরু করা হবে।