বি এম রাকিব হাসান, খুলনা : খুলনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার দুপুর ২টায় নগরীর সাতরাস্তা মোড় থেকে সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে তা’ রয়েল মোড়, শান্তিধাম, মডার্ন ফার্নিচার মোড়, বাইতিপাড়া, মৌলভিপাড়া, পিটিআই মোড় পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে চলা সংঘর্ষে পুলিশ শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে সাউন্ড গ্রেনেড, অসংখ্য টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছোড়ে। এতে প্রায় ৬০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে বলে দাবি করেছেন আন্দোলনকারীরা। জানা যায়, নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থীকে।
অবরোধের শুরুতে নগরীর ময়লাপোতা মোহন এলাকায় পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়। এ সময় পুলিশ সেখান থেকে কযে়কজনকে গ্রেফতার করে বলে জানা যায়। পরে শিক্ষার্থীরা রয়্যাল মোড় এলাকায় এলে পুলিশ তাদের চারদিক থেকে ঘিরে রাখে।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে সাতরাস্তার মোডে় থাকা পুলিশের দুটি গাড়ি পিছু হটলেও দুপুর সোয়া ২টার দিকে পুলিশের সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষ শুরুর পর পুলিশ কাঁদানেগ্যাস নিক্ষেপ করে ছাত্রদের ছাত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় পুলিশ নগরীর শান্তিধাম মোড়, রয়্যাল মোড়, সাতরাস্তা মোড়, ফুল মার্কেট এলাকা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয়।
আটকের বিষয়ে জানতে চাইলে খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন বলেন, দায়িত্ব পালনে ব্যস্ত রয়েছি। কতজন শিক্ষার্থী আটক হয়েছে এখন বলতে পারবো না। গতকালই আমাদের ঘোষণা দেওয়া ছিল আর কোনো ছাত্রকে আন্দোলন করতে দেওয়া হবে না। তারা আইন নিজেদের হাতে নিয়েছে। আমাদের ওপর হামলা করেছে। পুলিশ বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) রাত ১১টার দিকে চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলন কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয় খুলনার আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের একাংশ।
খুলনা সার্কিট হাউজে খুলনা সিটি মেয়র, সংসদ সদস্য ও উপ—পুলিশ কমিশনারের সাথে বৈঠকের পর কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছেন তারা। কিন্তু শিক্ষার্থীদের আরেকটি অংশ, প্রত্যাহারের ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করেছেন।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালযে়র সমন্বয়কদের পক্ষে কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন তানভির আহমেদ। আর আজম খান কমার্স কলেজের পক্ষে ঘোষণা দেন শেখ রাসেল।