আরিফুজ্জামান চাকলাদার,আলফাডাঙ্গা: ফরিদপুর জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদারের (পিএএ) নির্দেশনায় আলফাডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ হস্তক্ষেপে বাল্য বিয়ের হাত থেকে রক্ষা পেল আলফাডাঙ্গা আসাদুজ্জামান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির এক ছাত্রী।
বুধবার (৯ জুলাই ) দিবাগত রাতে পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ড সরকারি ডিগ্রী কলেজের সামনে সৌদি প্রবাসী রবিউল ইসলামের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
ইউএনও প্রতিনিধি ও স্হানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিউল ইসলামের বাড়িতে তাঁর দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার জন্য ৯ জুলাই দুপুরে গায়ে হলুদের আয়োজন শেষ করেন ।পরের দিন বুধবার পার্শ্ববর্তী উপজেলা বোয়ালমারী শেখর ইউনিয়নে শেখর গ্রামে ওহাব মোল্লার ছেলে নাজমুল মোল্লা পুলিশ কনস্টেবল এর সাথে বিবাহ হবে। পরে রাতে গোপন তথ্যের মাধ্যমে উপজেলা প্রশাসনের প্রতিনিধি রবিউল ইসলাম ও আলফাডাঙ্গা থানার এসআই বিনয় বাড়ই সঙ্গী ফোর্স সহ ঘটনাস্থলে গিয়ে জন্ম নিবন্ধন ওয়েবসাইটে যাচাই করে বয়স কম থাকায় বিয়ে বন্ধ করার নির্দেশ দেন।তারা বলেন প্রাপ্ত বয়স না হওয়া পর্যন্ত মেয়েকে বিবাহ দেওয়া যাবে না এই মর্মে মোবাইলে ভিডিও সহ স্বীকার উক্তি নেন তার মায়ের কাছ থেকে।তারপরে যদি কোন বিকল্প পন্থা অবলম্বন করে বিবাহ দেন এর পরে অভিভাবক বাবা, মাকে জেল জরিমানা আওতায় আনা হবে।
পুলিশ কনস্টেবল নাজমুল মোল্লা একাধিক পথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার সাথে যোগাযোগ ও বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার মুঠোফোনে জানান, একটি গোপন তথ্যের মাধ্যমে জানতে পারি দশম শ্রেণী ছাত্রী গায়ে হলুদের আয়োজন সম্পন্ন হয়েছে। পরের দিন বিবাহ হবে এমন সংবাদ আমাকে জানালে আমি তাৎক্ষণিক রাত ৮টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে ইউএনও কে বিবাহ বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।