৭ জানুয়ারি মঙ্গলবার সাড়ে ১১টার দিকে জেলা সদরের মুন্সিবাজারের গেরদা কাফুরা রেলক্রসিং এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ফরিদপুর জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান মোল্লা জানান, এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় ৫ জন মারা গেছেন। দুজন আহত অবস্থায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
স্থানীয়দের সহায়তায় আহতদের ৪ জনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানোর পর দু'জনের মৃত্যু হয়েছে। এখানেই ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
নিহতদের মধ্যে চার জনের নাম পরিচয় পাওয়া গিয়েছে, সাহেম (৪০), পিতা মাসুম শরীফ ভূঁইয়া, নারায়ণগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা। সাদিয়া আক্তার (৪৫) স্বামী, আসিফ জহির। রানা শরিফ ভূঁইয়া (৬০) এবং রায়হান (১১)। এরা সকলে একই স্থানের বাসিন্দা।
জানা যায়, একটি মাইক্রোবাসে করে ১১ জন যাত্রী রেললাইন ক্রসিং হচ্ছিলেন।
এ সময় ফরিদপুর থেকে ঢাকামুখী মধুমতি এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার পর মাইক্রোবাসটি পাশের পুকুরে পড়ে। এ সময় মাইক্রোবাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে যায়।
ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম ঘটনাস্থল থেকে তিনজনের মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করেন। অন্য দু'জন হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।
ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বাকি বিল্লাহ বলেন, এ ঘটনায় অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। কোতোয়ালি থানা কর্তৃক আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছে।
স্থানীয় এলাকাবাসীরা অনেকেই জানান, এখানে রেললাইন ক্রসিংয়ে কোনো গেটম্যান না থাকায় কিছুদিন পরপরই দুর্ঘটনার স্বীকার হতে দেখা যায়। এখানে কর্তৃপক্ষ যদি গেটম্যান ব্যবস্থা করে তাহলে হয়তো রেললাইন পার হবার সময় এখানে দুর্ঘটনা বন্ধ হয়ে যাবে।